বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কাশিপুরের ইছাকাঠী খ্রিষ্টান কলোনির প্রধান সড়কে মাদক বিক্রির সময় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক হয় স্থানীয় দুই যুবক। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন তারা। আটককৃতরা হলেন, খ্রিষ্টান কলোনির বাসিন্দা পলাশ ওরফে (লাইটিং পলাশ),এবং একই এলাকার মৃত রমেশ এর পুত্র অপু। হামিদা আফরোজ সুমি (৩১) ওই এলাকার ‘ আলমগীর ম্যানশনের’ চতুর্থ তলার উত্তর পূর্ব পাশের টি-২ নম্বর ফ্লাটের ভাড়াটিয়া মো. নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। ডিবি কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ জুন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে কাশিপুর এলাকার খ্রিষ্টান কলোনির প্রধান সড়ক থেকে পলাশ ও অপু ইয়াবা বিক্রি করার সময় তাদের তল্লাশী করা হয় ।
একপর্যায়ে তাদের ব্যবহত হলুদ অটো তল্লাশী করে ৬০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, অপু ও পলাশ ভ্রাম্যমান ভাবে মাদক ব্যবসা করে। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে বা অনুষ্ঠানের লাইটিং এর কাজের ফাকে ক্রেতাদের ম্যানেজ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরো বেশ কিছু ব্যাক্তির নাম পাওয়া যেতে পারে। সূত্র বলছে ,দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখের আড়ালে বসে মাদক ব্যাবসা পরিচলনা করে আসছিল এই মাদক ব্যবসায়ীরা।
কাশিপুর এলাকার জব্বার নামের এক ব্যাক্তি যানান, কাশিপুর ইছাকাঠী প্রধান সড়কে সন্ধা থেকে গভির রাত পর্যন্ত চলে ইয়াবা ব্যাবসা। বিশ্বস্ত এক সুত্র জানায়, পলাশ,অপু,মুক্তা,কবিরসহ আরো বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে এই সিন্ডিকেটে। তবে ছোট খাটো ব্যবসায়ী ধরা পরলেও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে যায় মাদক ব্যবসার মূল হোতা। কাশিপুর এলাকার মাদক সিণ্ডিকেট নিয়ে গনমাধ্যমে বেশ কয়েকবার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে প্রশাসনিক ভাবে একশনে নেমছে গোয়েন্দা পুলিশ।
কিন্তু মাদক ব্যাবসার মূল হোতারা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।পুলিশের হাতে আটক হওয়া বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীর তথ্যের ভিত্তিতে একটি নাম সামনে চলে আসে, কাশিপুর এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র সজল (৩৭)। মূলত সজল এই সকল ব্যক্তিদের দ্বারাই তার মাদকের চালান বিক্রি করে থাকে। ২৯ নং ওয়ার্ড কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে মরণ নেশা ইয়াবা পৌছানোর কাজ করতো সজলের স্ত্রীর আপন ভাই (শালা) অপু।পলাশ তার স্ত্রী মুক্তা ও কবির ওরফে গাজা কবির দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। একইভাবে কাশিপুরে বিভিন্ন স্পটে পুলিশের মদদেই মাসিক মাসোয়ারার মাধ্যমে মাদকের রমরমা ব্যানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।
তাদের বিভিন্ন স্থানে হলো,কাশিপুর বাজার, সুপারি বাগান, দেলোয়ারের চায়ের দোকান, মরিয়মের চায়ের দোকান, মিতালি হাউজিং, খ্রিষ্টান কলোনির স্কুল , চাপরাশি বাড়ির স্কুলের পিছনের ড্রেন এর মাথা, বাঘিয়ার কোলাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবারহ করে থাকতো কাশিপুর ইছাকাঠী প্রধান সড়কের খান বাড়ির মৃত হারুন’র পুত্র পলাশ।
বেশ কিছুদিন পূর্বে , কাশিপুর এলাকার ভাড়াটিয়া আলফা চালক সিদ্দিকের শ্যালক জাফর সে সাতক্ষীরা থেকে ইয়াবা নিয়ে আসেন এবং পলাশ তা বিক্রি করার জন্য একই এলাকার দশম শ্রেনীর এক ছাত্রকে বলে , পরবর্তীতে যখন সেই ছাত্র মাদক বিক্রি করতে পারবেনা বলে তখন পলাশ তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। এমনকি তার বাবা, মাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছিলো এই পলাশ । ইয়াবা সহ আটকের ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply